জুড়ীর লাঠিটিলা বনে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে হনুমানের মৃত্যু    

হারিস মোহাম্মদ: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি চশমা পরা হনুমানের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ বনের কমলছড়া এলাকায় হনুমানটি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা বন বিভাগকে খবর দেয়। এর আগে একই স্থানে গত বছরের অক্টোবর মাসে আরো একটি চশমা পরা হনুমানের মৃত্যু হয়। এর পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি বনের কাছে অবস্থিত দিলখোশ চা-বাগান এলাকায় সড়কের পাশে মৃত অবস্থায় একটি চশমা পরা হনুমান শাবককে পাওয়া গিয়েছিল। সেটিরও মৃত্যু হয়েছিল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। এভাবে একের পর এক হনুমানের মৃত্যু ঘটায় পরিবেশবিদরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের লাঠিটিলা বিটের দায়িত্বে থাকা বিট কর্মকতা মো: রুমিজ্জামান বলেন, হনুমানটি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে স্টাফকে দিয়ে প্রাণিটিকে উদ্ধার করে মাটি চাপা দেয়ার হয়েছে।
কয়েকজন পরিবেশকর্মী জানান,  লাঠিটিলা বনে বিভিন্ন ধরনের বন্য প্রাণীর আবাস রয়েছে। বন দখল করে পাকা বাড়ীঘর  নির্মান, বেনর গহীন অরণ্যে অবৈধ ভাবে বিদ্যুতের লাইন টানানোর কারণে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল গুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। যার ফলে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ  হয়ে এভাবে প্রতিনিয়ত চশমা পরা হনুমান গুলো মারা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরে হারিয়ে যাবে বন্যপ্রাণী। হুমকির মুখে পড়বে পরিবেশ। পরিবেশ কর্মীরা বন্যপ্রাণী রক্ষায় প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।  এদিকে বন বিভাগ হনুমানসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণীর চলাচলের জন্য ‘ক্যানোপি ব্রিজ’ স্থাপন করলেও তা এখনও ব্যবহার করতে দেখা যায় নি। ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হরহামেশা বন্য প্রাণী মারা যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকতা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, লাঠিটিলা বনে হনুমানের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।  বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কথা বলে বৈদ্যুতিক তারে কাভার প্রটেকশন দেয়ার ব্যবস্থা করবো। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের আর কোন দূর্ঘটনায় বন্যপ্রাণীর মৃত্যু  না হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *