গুলশানে ১ লাখ টাকা ভাড়ায় ফ্ল্যাটে থাকতেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছা’ত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া। বিয়ে ছাড়াই প্রে’মের স’ম্পর্কের জেড়ে তার ফ্ল্যাটে নিয়মিত যাতায়াত ছিল বসুন্ধ’রা গ্রুপের এমডির। গণমাধ্যম সূত্রের খবর।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর মোসারাত জাহান মুনিয়ার ম’রদেহ উ’দ্ধার হয় তার ফ্ল্যাট থেকে। ঘরে ফ্যানের সাথে তার ম’রদেহ ঝুলতে দেখা যায়।
তাকে আত্মহ’ত্যায় প্র’রোচনা দেয়ার অ’ভিযোগে বসুন্ধ’রা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বি’রুদ্ধে মা’মলা দায়ের করেছেন মুনিয়ার বড় বোন।
মা’মলা সূত্রে জানা যায়, মে’য়েটির সঙ্গে বসুন্ধ’রা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের স’ম্পর্ক দুই বছরের। এক বছর মে’য়েটিকে বনানীর একটি ফ্ল্যাটে রাখেন। গত মা’র্চে গুলশানের এই ফ্ল্যাটে ওঠেন মে’য়েটি।
গত ২৩শে এপ্রিল ইফতার পার্টি হয় ওই বাসায়। ওই পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা নিয়ে মুনিয়ার সঙ্গে তানভীরের মনোমালিন্য হয়। পরে মে’য়েটি তার বোনকে ফোন করে জানান, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন।
২১ বছর বয়সী মুনিয়ার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তার পরিবার সেখানেই থাকে। গুলশান বিভাগের অ’তিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মুনিয়ার স’ম্পর্ক ছিল।
তিনি ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও আম’রা জানতে পেরেছি। পু’লিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোসারাতের ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জ’ব্দ করেছে।
এরইমধ্যে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে মুনিয়ার একটি ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি অন্তঃস্বত্তা ছিলেন কিনা সে প্রশ্নও ওঠেছে। তার ময়না ত’দন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর অনেক প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।