ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্ব চলচ্চিত্রে নেতৃত্ব দিতে চায় মুসলিম দেশ সৌদি আরব। এরই মধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আরব দেশটি। দেশটির দুই প্রতিষ্ঠান নিওম মিডিয়া হাব এবং হাকাওয়াতি এন্টারটেইনমেন্ট একটি চুক্তি করেছে। এর মাধ্যমে তারা মোট ৯টি সিনেমা তৈরি করবে।
সৌদি আরবের লক্ষ্য বিনোদন শিল্পকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করা। বিশেষ করে সৌদি চলচ্চিত্র শিল্পকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা। এছাড়া এই অংশীদারিত্ব শোবিজ বিষয়ক নানারকম প্রশিক্ষণেও গুরুত্ব দেবে।
২০২৫ সালের মধ্যে নিওমে একটি ‘হাকাওয়াতি কমিউনিটি’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এটি সৌদি আরবের সৃজনশীল ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পৃথিবীর নানারকম শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি ও বিনোদন বাণিজ্যের বিস্তার ঘটাতে কাজ করবে এই কমিউনিটি।
নিওমের এন্টারটেইনমেন্ট প্রধান মাইকেল লিঞ্চ বলেন, ‘হাকাওয়াতির সাথে এই অংশীদারিত্ব সৌদি আরবের মিডিয়া শিল্পের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই অংশীদারিত্ব দেশের মধ্যে একটি বিশ্বমানের মিডিয়া হাব তৈরি করতে সাহায্য করবে।’
হাকাওয়াতির সিইও অসামা আলখুরাইজি বলেছেন, ‘এ পদক্ষেপ সৌদি আরবে একটি শক্তিশালী চলচ্চিত্র নির্মাণ ব্যবস্থা তৈরি করার ব্যাপারে সাহায্য করবে। এর ফলে বৈশ্বিক বিনোদন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শক্তিশালী হয়ে উঠবে সৌদি।’
সম্প্রতি ‘ডেজার্ট ওয়ারিয়র’ নামক একটি সিনেমা নিওমের মরুভূমিতে শুটিং করা হয়। এর বাজেট ছিল ১৫০ মিলিয়ন ডলার। অ্যাকশন থ্রিলারধর্মী সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন ফ্যালকন ও ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রের জন্য জনপ্রিয় অভিনেতা অ্যান্থনি ম্যাকি।
নিওমে শুটিং করা হয়েছে আরও বেশ কিছু বড় সিনেমা এবং টিভি সিরিজ। যার মধ্যে আছে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান অভিনীত ‘ডাঙ্কি’ সিনেমা এবং এমবিসি স্টুডিওসের প্রযোজনায় ‘রাইজ অফ দ্য উইচেস’ নামক একটি ফ্যান্টাসি টিভি সিরিজ।
আর হাকাওয়াতি এন্টারটেইনমেন্ট ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া একটি প্রতিষ্ঠান। এটি সৌদি উদ্যোক্তা ও চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের একটি উদ্যোগ। প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন রেধা আলহাইডার, যিনি সৌদি আরবের মিডিয়া নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান জেনারেল কমিশন অফ অডিওভিজ্যুয়াল মিডিয়ার প্রধান ছিলেন। সিইও হিসেবে আছেন নামকরা চলচ্চিত্র পরিচালক অসামা আলখুরাইজি।
হাকাওয়াতি ইতোমধ্যে কিছু সৌদি সিনেমা ও টিভি শো তৈরি করে আলোচনায় এসেছে। যেমন ‘উরিম’, ‘খুরাইস’ এবং ‘কাট’।
ভ্যারাইটি তাদের খবরে তথ্য দিয়েছে- নিওমে তৈরি হতে যাওয়া সিনেমাগুলোর প্রথম দুটির নির্মাণকাজ শুরু হবে আগামী বছরের মধ্যেই। এই সিনেমাগুলো সৌদি আরবের ৪০%+ ক্যাশ রিবেট প্রোগ্রাম এবং নিওমের আধুনিক সুবিধা ব্যবহার করবে।