শেষের ধ্বসের পর বাংলাদেশের স্বস্তি

স্পোর্টস রিপোর্টার : লিটন দাস-মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে ছিল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। লিটন ফিরতেই ছন্দপতন। ১৪ রান তুলতেই শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ১১৩ রানের লিড। শেষের ধ্বসের আক্ষেপ কিছুটা হলেও কমেছে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা উইন্ডিজের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪১ রান। ঢাকা টেস্টে সফরকারীরা এগিয়ে ১৫৪ রানে। রোববার চতুর্থ দিনের ব্যাটিংয়ে নামবেন এনক্রুমাহ বনার ৮* ও নাইটওয়াচম্যান জোমেল ওয়ারিকান ২*।

বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ।

চতুর্থ ওভারেই নাঈম হাসানের শিকার হয়ে ফেরেন সফরকারী অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (৬ রান)। কিছুক্ষণ পরই মিরাজের বলে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন শেন মোজলি (৭ রান)। জন ক্যাম্পবেল-এনক্রুমাহ বনারের তৃতীয় উইকেট জুটি জমে ওঠার আগেই ইতি টানেন তাইজুল ইসলাম। ক্যাম্পবেল (১৮ রান) ফেরেন দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুলের প্রথম শিকার হয়ে।

শনিবার ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতেই রাকিম কর্নওয়ালের স্পিনে মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহীম ফেরার পর ম্যাচের হাল ধরেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ফলোঅন এড়িয়ে লড়াই করছিলেন দুই টাইগার ব্যাটসম্যান। কিন্তু কর্নওয়াল ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে টানা দুই ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে খেই হারায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারায় ১৫৫ রানে। মুশফিক ফেরার পরে লিটনের সাথে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৯২ বলে ফিফটি হাঁকান লিটন। এরপর ১১২ বলে ফিফটি সংগ্রহ করেন মিরাজও। ৯১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৭১ রান করে বিদায় নেন লিটন। কর্নওয়ালের বল খেলতে গিয়ে ব্ল্যাকউডের হাতে তুলে দেন তিনি। একই ওভারের পঞ্চম ওভারে শূন্য রানে ফেরেন নাঈম হাসান। ৯২তম ওভারে মিরাজ ফেরেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে। ব্র্যাথওয়েটের তালুবন্দি হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ১৪০ বলে ৫৭ রান।

এর আগে দলের বিপর্যয় কাটাতে ধীর ব্যাট করতে থাকেন মুশফিক। তবে ধৈর্য্যরে পরিচয় দেননি তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রিভার সুইপ খেলতে গিয়ে ক্রিজ ছাড়তে হয় বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে।

ক্রিজে অনেক সময় কাটিয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি না মিঠুন। ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে রাকিম কর্নওয়ালকে খেলতে গিয়ে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের হাতে তুলে দেন তিনি। বিদায়ের আগে ৮৬ বল খেলে মাত্র ১৫ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেন রাকিম কর্নওয়াল। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ৩ ও আলজারি জোসেফ ২ উইকেট নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *