পৃথিমপাশায় সরকারি রাস্তা জবর দখলের অভিযোগ : দু’পক্ষে উত্তেজনা

কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে একটি সরকারি রাস্তা জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে জবরদখলকারী ও গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কুলাউড়া থানায় এ নিয়ে উভয়পক্ষ পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ ও থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের দেওগাঁও গ্রামের হারিছ মিয়া, লাল মিয়া ও গুলাইছ মিয়া সরকারি রাস্তা জবরদখল করে বাড়ির পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে দেওগাঁও গ্রামের মানুষ কাজে বাঁধা দেয়। এনিয়ে ২১ আগস্টশনিবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। গ্রামবাসীর পক্ষে ইয়াছিন মিয়া কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে।

দেওগাঁও গ্রামের প্রবীণ মুরব্বী মো. ছয়ফুল মিয়া (৬০), মো. মতিন মিয়া (৬৫), সৈয়দ কুরপান আলী (৭৫), মখলিছ মিয়া (৭০), জাকির মিয়া (৩৫) ও কাইয়ুম আলী (৪৮) জানান, সরকারি রাস্তা হলেও হারিছ মিয়া ও তার সহযোগিরা রাস্তাটি কেটে কেটে অর্ধেক তাদের বাড়ির সীমানায় মিশিয়ে ফেলেছে। রাস্তাটি ইটসোলিংয়ের জন্য উদ্যোগ নেয়া হলে হারিছ মিয়া বাড়ির সীমানা প্রাচীর পাকা করার জন্য নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এলাকার লোকজন রাস্তা জবরদখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে দেখে বাঁধা দেন। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ হলে রাস্তাটি ১৪ ফুট প্রশস্থ করা সম্ভব হবে না।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, হারিছ মিয়া ও তার সহযোগিরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় গরু চুরির অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে তিনি নিরীহ প্রবাস ফেরৎ ব্যক্তিদেও অসৎ উদ্দেশ্যে আসামী করেন।

২২ আগস্ট রোববার কুলাউড়া থানার এএসআই জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

রাস্তা জবর দখলের অভিযাগে অভিযুক্ত হারিছ মিয়া জানান, সরকারি রাস্তা হতে তার কোন আপত্তি নেই। রাস্তার কাজে বা জবরদখলের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে নিষ্পত্তি চান।

পৃথিমপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবাব আলী বাখর খান জানান, এলাকায় রাস্তা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবশে যাতে সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যে আগামী ২৪ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসবেন।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় জানান, উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তক্রমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আইন শৃঙ্খলার যাতে অবনতি না ঘটে সেজন্য উভয়পক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *