কুলাউড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম কর্তৃক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমানের বিরুদ্ধে কটুক্তি ও নানা মিথ্যাচার করে বক্তব্য রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি কুলাউড়া শহর প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। ১৩ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে কুলাউড়া পৌর শহরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমানের নেতৃত্বে উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও তাঁর সমর্থকরা শহরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে হুঁশিয়ারি করলেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলামকে।

প্রতিবাদ সমাবেশে অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান সমর্থকদের দাবি, গত ১০ নভেম্বর দলের সাধারণ সম্পাদক তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন ও বানোয়াট বক্তব্যের প্রতিবাদে তাদের এই কর্মসূচি। প্রতিবাদ সভায় অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা মাঠে কাজ করছি। কিন্তু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলামের ইন্ধনে একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। আমি আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ কুলাউড়ার আপামর জনতাকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করে ৩০ হাজারেরও অধিক ভোটে পরাজিত হন তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম। আমি উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তথ্য যাচাই করে দেখেছি বিগত পাঁচ বছরে তাঁর সময়কালে কামরুল ইসলাম পরিষদের প্রায় ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে, খুব অচিরেই তিনি এই টাকা আত্মসাতের কারণে কারাগারে যাবেন। গত ১০ নভেম্বর শহীন মিনার প্রাঙ্গণে সন্ধ্যায় ২০-২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে কামরুল ইসলাম কোন কারণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মনগড়া অভিযোগ এনে কটুক্তি করে নানা মিথ্যাচারের মাধ্যমে সামাজিকভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছেন। আমি তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আপনি যদি সংশোধন না হন তবে কুলাউড়ার মানুষ আপনাকে প্রতিহত করবে। মুখে আওয়ামীলীগ বলে অন্তরে বিষ লালন করে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে পারবেন না। নিজেকে সংশোধন করুন। আসুন এসব ভেদাভেদ ভুলে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আপনার কিসের এত ভয়, শুধু আমাকে নিয়ে দোষারূপ আর মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য দিচ্ছেন। আজকের এই সমাবেশ থেকে বলবো নিজেকে নিবৃত্ত করুন নয়তো কুলাউড়ার মানুষ আপনাকে ছাড় দেবে না। কুলাউড়ার সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক এমপি, মরহুম আব্দুল জব্বার এর ছেলের কাছ থেকে এমন বক্তব্য আশা করা যায় না। প্রতিবাদ মিছিল ও সভায় উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সে¦চ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীসহ কয়েক সহ¯্রাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ১০ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম সফি আহমদ সলমান ও সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। এরপর ২ বছর অতিবাহিত হলেও পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *