এডিসি হারুনের ওপর আগে হামলা চালান রাষ্ট্রপতির এপিএস: ডিবিপ্রধান

শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের আগে ঘটনার সূত্রপাত বারডেম হাসপাতালে হয়েছিল বলে দাবি করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, সেখানে আগে রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশীদকে মারধর করেন। তার জের ধরে ছাত্রলীগ নেতাদের ধরে থানায় নেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে ব্যাপক মারধররের অভিযোগ ওঠার পর তা নিয়ে চলছে আলোচনা। ছাত্রলীগ এই ঘটনার বিচার দাবি করার পর এডিসি হারুনকে সোমবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডিএমপি।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন মঙ্গলবার বিকালে বলেন, হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ও চিকিৎসা নিতে যাওয়া নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। তাতে তারা এডিসি হারুনকে মারধরে ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামী এপিএস মামুনের সংশ্লিষ্টতার কথা জেনেছেন।
তিনি বলেন, “সূত্রপাত বারডেম হাসপাতালে হয়েছিল। সেখানে এডিসি হারুনকে মারধরের সময় তাকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে হয়। এই ঘটনাও তদন্তে আসা উচিত।”
তবে ছাত্রলীগের নেতাদের থানায় নিয়ে মারধর করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন অতিরিক্ত কমিশনার হারুন।
ডিএমপিতে এডিসি হিসেবে কর্মরত ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা এরই মধ্যে একটি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার সহকর্মী এডিসি হারুন নির্দোষ। বারডেম হাসপাতালে তিনি চিকিৎসক দেখাতে গিয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী এডিসি হারুন। ওই সময় তার স্বামী মামুন ‘গুণ্ডাপাণ্ডা এনে হারুন স্যারকে মারধর করেন’।
এবিষয়ে এপিএস মামুনের কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে সাংবাদিকরা কল করলেও তা বন্ধ পাচ্ছেন।
এদিকে পুলিশের মারধরে আহত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈমকে দেখতে মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, “মারধরের ঘটনার বিষয়ে যে তদন্ত চলছে, তার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে যে দুইজন কর্মকর্তার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এডিসি হারুনকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকে বদলি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *