আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন এবং দেশের ১৭ কোটি মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়ার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাইডেনকে জানিয়েছিলেন যে তিনি তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন এবং তিনি বাংলাদেশের জনগণকে তার পরিবার হিসাবে বিবেচনা করেন।
‘দেশে আমার ১৭০ মিলিয়ন লোকের একটি বড় পরিবার রয়েছে,’ প্রধানমন্ত্রী বাইডেনকে বলেছেন উল্লেখ করে মোমেন বলেন, তার উদ্দেশ্য হলো সমস্ত মৌলিক চাহিদা পূরণ করে এই মানুষদের একটি উন্নত জীবন দেওয়া।
মোমেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উদ্ধৃত করে বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন, ‘আমি জানি আপনার অর্জনগুলো খুবই চিত্তাকর্ষক।’
৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনের সময় একজন সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্বশেষ তাদের আলোচনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে একটি সেলফি তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যা তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
মোমেন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাইডেনের সঙ্গে আলাপ করেন এবং তা অত্যন্ত উষ্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জীবনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং আজ তিনি অত্যন্ত উচ্চমানের।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, তারা কখনো চাপের মধ্যে ছিল না, বরং মিডিয়া চাপে আছে।
তিনি আরও বলেন,‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘ইনোভেশন আড্ডা উইথ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস’ শীর্ষক আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ স্বীকার করেছেন যে তাদের ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে কারণ এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।
তারা বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক চায়, তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ তার বড় বাজারের সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে খুব ভাল করছে এবং ফ্রান্স তার উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশ হতে চায়।
মোমেন বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট জলবায়ু মোকাবিলায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তা নির্ভর করবে বাংলাদেশ কীভাবে প্রকল্পগুলো উন্নয়ন করে তার ওপর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি করতে চায়, কারণ দেশ প্রথম স্যাটেলাইটটিতে খুশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *