প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ : পৌষ সংক্রান্তিকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জমে উঠেছে বাজার। সু-স্বাদু পিঠাপুলি তৈরীর উপকরণ কেনায় ব্যস্ত মানুষজন। বাজারে বেড়েছে গুড়ের দাম। এক জোড়া নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। কমলগঞ্জ উপজেলা সদর ও শমশেরনগর বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়। জানা যায়, আগামী ৩০ই পৌষ বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি উৎসব। পৌষ সংক্রান্তিতে বাঙলার ঘরে ঘরে বিশেষ করে সনাতনি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি ঘরে তৈরী হবে সু-স্বাদু নানা জাতের পিঠা পুলি। পিঠা পুরি তৈরীতে দুধের সাথে বেশী ব্যবহার করা হয় নারিকেল, চিনি ও গুড়। প্রতিটি বাড়িতে সংক্রান্তির দিন নেওয়া হবে বড় আকারের মাছ। বাড়েিত বাড়িতে করা হবে অতিথি আপ্যায়ন। সংক্রান্তির এক সপ্তাহ আগ থেকে সংক্রান্তির পিঠাপুলির উপকরণ বিক্রি বেড়ে যায়।
এ অবস্থায় সম্প্রতি কমলগঞ্জের হাট-বাজারে এসব উপকরণ বিক্রি বেড়ে গেছে। রোববার দুপুরে শমশেরনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এক সপ্তাহ আগে এক কেজি গুড় বিক্রি হচ্ছিল ৮০ টাকা করে। এখন সে গুড় বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে। খাজুরের গুড় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে একটি নারিকেল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা করে। এখন একটি নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে। পৌষ সংক্রান্তির পিঠাপুলি তৈরীতে নারিকেল অপরিহার্য বলে ক্রেতারা এক জোড়া নারিকেল কিনছেন ২০০ টাকা করে। উপজেলার বাজার গুলো ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি মিষ্টি কদমা ও বাতাসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে। আর গুড়ের সাথে তিল মিশ্রিত করে নাড়ু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ টাকা দরে।
ব্যবসায়ী শেখর ভট্রাচার্য্য বলেন, পৌষ সংক্রান্তি উৎসবে বাঙলার ঘরে ঘরে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি ঘরে নানা জাতের স্-ুস্বাদু পিঠাপুলি, তৈরী করা হয়। ভালো বড় আকারের মাছ কেনা হয়। অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। আর এ সময় দুধ, নারিকেল, চিনি, গুড় ও তিলের ব্যবহার হয় বেশী। এর সাথে আবার ঢলু বাঁশ দিয়ে চোঙা পিঠা পিঠা তৈরী করা হয়। ফলে এসময় ঢলু বাঁশ কেনা হয়। এ সুযোগে বাজারের পিঠাপুলি তৈরীর উপকরনের দাম বেড়ে গেছে।
শমশেরনগর বাজারের মোদী ব্যসায়ী তমিজ মিয়া ও হরিপদ পাল বলেন, আগে পাইকারী বাজারে নারিকেলের দাম কম ছিল বলে কম দামে বিক্রি হতো। এখন পাইকারী বাজারে এক জোড়া নারিকেল ১৮০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা বাজারে এক জোড়া নারিকেল ২০০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে।