আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার : আজ ৮ মা’র্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৭৫ সাল থেকে এই দিনে সারা বিশ্বে নারী দিবস পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে এ বছর পাঁচ নারীকে জয়িতা স্বীকৃতি দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সোমবার বাংলাদেশ শি’শু একাডেমি মিলনায়তনে জয়িতাদের সম্মাননা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যু’ক্ত হবেন সরকারপ্রধান।

এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘করো’নাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব।’

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অ’ভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, এ দেশের নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ‘এ দেশের নারী পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে বাংলাদেশে উত্তরণ ঘটবে। বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। বাস্তবায়িত হবে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০। মুজিববর্ষে এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।’

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৮ মা’র্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অ’ভিনন্দন জানান তিনি।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্ম’রণিকা প্রকাশ করা হবে।

এ ছাড়া টেলিভিশন ও বেতারে নারীর অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান হবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সাজানো হবে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেশের সব জে’লা-উপজে’লায় নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, অধিকার বিষয়ে প্রচার ও সচেতনতা সৃষ্টিতে শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

১৮৫৭ সালের ৮ মা’র্চ নিউ ইয়র্কের সুতা কারখানায় কর্ম’রত নারী শ্রমিকরা আ’ন্দোলনে নামতে বাধ্য হন। সেদিন বেতন বৈষম্য, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা আর কাজের বৈরি পরিবেশের বি’রুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তারা একজোট হলে তাদের ওপর কারখানা মালিকরা আর ম’দদপুষ্ট প্রশাসন দমন-পীড়ন চালায়।

এর প্রায় অর্ধশতাব্দী পর ১৯০৮ সালে জার্মানিতে এ দিনটি স্ম’রণে প্রথম নারী সম্মেলন হয়। ১৯১০ সালে ডেনমা’র্কের কোপেনহেগেনে হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে প্রায় ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।

এ সম্মেলনেই প্রথমবারের মতো প্রতি বছরের ৮ মা’র্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মা’র্চ নারী দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশে ১৯৭১ সাল থেকেই ৮ মা’র্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মা’র্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানানোর পর থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *