কোষ্ঠকাঠিন্য এক জটিল সমস্যা। একবার এই রোগের ফাঁদে পড়লে দিনের পর দিন পায়খানা হয় না। সেই সঙ্গে বিরক্ত করে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। আমাদের ভুলে ভরা খাদ্যাভ্যাসের কারণেই অনেক সময়ই সুস্থ শরীরে পিছু নেয় কোষ্ঠকাঠিন্য।
সেই কারণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা আমাদের খাবার নিয়ে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেন।
আমরা নিয়মিত এমন কিছু খাবার খাই, যেগুলো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য পিছু্ই ছাড়বে না। এবার আপনি জিজ্ঞেস করতেই পারেন, ঠিক কোন কোন খাবার খেলে পিছু নিতে পারে এই সমস্যা? সেই উত্তর জানতে পড়তে থাকুন এই প্রতিবেদনটি।
ভাত
আমরা বাঙালিরা ভাতের ওপরই নির্ভরশীল।
এই ভাত ছাড়া আমাদের চলে না। অনেকে তো তিন বেলাতেই ভাত খান। তবে সত্যি বলতে, এই খাবারে তেমন একটা ফাইবার থাকে না। যে কারণে নিয়মিত ভাত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
তাই চেষ্টা করুন দিনে ৩ বেলা ভাত না খাওয়ার। তার বদলে আটার রুটিকে জায়গা করে দিতে পারেন খাবার তালিকায়। আর রুটিতে সমস্যা থাকলে খান বাদামি চালের ভাত। তাতেও উপকার মিলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খাসির মাংস
খাসির মাংস খেতে আমরা অনেকেই খুব পছন্দ করি।
এর জন্যও বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ, খাসির মাংসের প্রোটিন সহজে হজম হতে চায় না। যেই কারণে পিছু নেয় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো একাধিক সমস্যা। তাই চেষ্টা করুন নিয়মিত খাসির মাংস না খাওয়ার। তার বদলে চিকেনের ওপর রাখুন ভরসা। এই কাজটা করলেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
পাউরুটি
আমাদের মধ্যে অনেকেই পাউরুটি খেতে খুব ভালোবাসেন। আর তাদের এই ভালোবাসাই একাধিক সমস্যা ডেকে আনে। এমনকী তাদের পিছু নিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। আসলে, পাউরুটি একটা ফাইবারবিহীন খাবার। তাই এই খাবার খেলে অন্ত্রে মলের গতিবিধি কমে যায়। যে কারণে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল সমস্যা। তাই চেষ্টা করুন পাউরুটির থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নেওয়ার।
চকোলেট
চকোলেটের মিষ্টি স্বাদের নেশা আমাদের মন আনছান আনছান করে। এটিই মূলত আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনে। কারণ, চকোলেটের মতো একটি মিষ্টি খাবার নিয়মিত খেলে শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে যেতে পারে। তরতরিয়ে বাড়তে পারে সুগার। সেই সঙ্গে পিছু নিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। বিশেষত, যাদের ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম রয়েছে, তাদেরই এই সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বেশি। তাই আপনারা অবশ্যই সাবধান হন।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটি নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। এরপরও অনেকেই নিত্যদিন এই পানীয়তে চুমুক দেন। যার ফলে বিপদ বাড়ে। পিছু নেয় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে একাধিক সমস্যা। কারণ, এই পানীয় নিয়মিত খেলে শরীরে পানির ঘাটতি হতে পারে। এছাড়া এই ড্রিংকস হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। যার কারণে বিপদ বাড়ে। তাই সাবধান হওয়া উচিত।
সূত্র : এই সময়