রাজনগর প্রতিনিধি: সোহেনা নামের এক যুবতীকে বিয়ে করতে চেয়েছিল দুই ভাই। আলাদা আলাদা ভাবে বিয়ের প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলো। বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়টি দুই ভাইয়ের মধ্যে চাউর হলে দেখা দেয় বিরোধ। এক সময় সংঘর্ষের রূপ নেয়। এক ভাইয়ের হাতে খুন হন শাহার আলী নামের আরেক ভাই। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একজনকে বুধবার সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায়।
রাজনগর পুলিশ জানায়, উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুক্রাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল হক এর পুত্র শাহারের জন্য পাশর্^বতী এলাকার তফর আলীর মেয়ে সোহেনা বেগমকে প্রথমে প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিয়ের প্রস্তাবের পরপরই নিহত শাহারের চাচাতো ভাই শোয়েবের জন্য তার বড় ভাই সাব্বির আহমদ তফর আলী কাছে মেয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠান। মেয়ের বাবা উভয় পক্ষের কাছে কয়েক দিনের সময় নেন। পরে ৮ আগষ্ট রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শোয়েব ও শাহার বিয়ের প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে শোয়েবের পরিবারের সদস্যরা বড় ভাই সাব্বিরের নেতৃত্বে শোয়েব, জুনেদ, রুহনসহ আরোও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা লোক শাহার আলীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে চলে আসে। পরে শাহারের পরিবারের সদস্যরা রাজনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করলে চিকিৎসা শেষে ৯ আগষ্ট বাড়ী ফিরেন শাহার। এরপর গত বুধবার (১১ আগস্ট) শাহারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারো তাকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার পথে রাত ১০ ঘটিকার সময় তার মৃত্যু হয়।
রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সাব্বির আহমদকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।