ধানের শীষের প্রার্থীর ফলাফল প্রত্যাখান কুলাউড়ার বরমচাল ইউপি উপনির্বাচন

কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে ভোট পুনঃগণনার দাবী জানিয়েছেন বিএনপি’র প্রার্থী (ধানের শীষ প্রতিকের) মোঃ আব্দুল মুক্তাদির মুক্তার। ফলাফলের অনিয়মের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত অভিযোগ রিটার্নিং অফিসারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি তা গ্রহণ করেননি বলেও অভিযোগ করেন। ১২ ডিসেম্বর শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপি’র প্রার্থী মো. আব্দুল মুক্তাদির মুক্তার বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘোষিত ফলাফলে আমি ধানের শীষ প্রার্থী আমার এজেন্টদের দেয়া তথ্যমতে, ১৫৪ ভোটে এগিয়ে ছিলাম অর্থাৎ আমি বিজয়ী হই। কিন্তু ৪ টি ভোটকেন্দ্র যথাক্রমে ৪ নং কেন্দ্র হযরত খন্দকার (রহঃ) দাখিল মাদ্রাসা, ৬নং নন্দনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮নং সিংগুর উচ্চ বিদ্যালয় ও ৯নং বরমচাল চা বাগান নাচঘর কেন্দ্রের ফলাফল শীট সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার আমার কেন্দ্রের নির্বাচনী এজেন্টদেরকে না দিয়ে তড়িগড়ি করে উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে আসেন। উপজেলা হলরুমে এসে দেখি বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের ফলাফল, এজেন্টদের দেয়া ফলাফলের সাথে অমিল রয়েছে। আমি আপত্তি জানালে রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আমি সাথে সাথে লিখিত অভিযোগ প্রস্তুত করি। তিনি বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন। আমি অন্যরুম থেকে ঘন্টা খানেক পরে এসে তড়িঘড়ি করে ৪৮ ভোট বেশি দেখিয়ে চশমা প্রতীকের প্রার্থী খোরশেদ আহমদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, এসময় আমি আবেদনটি দিতে গেলে তিনি রাখেন নি। বলেন, অফিসে গিয়ে দিতে। আমি উনার অফিসে আবেদনটি নিয়ে গেলে দেখি গেইট ভেতর থেকে তালাবদ্ধ। বলা হয়, গেইট খোলা যাবে না। সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে উপ-নির্বাচনে আমার ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে। আমি উক্ত ফলাফল প্রত্যাখান করে পুরো ইউনিয়নের ভোট পুনঃগননার আবেদন জানাচ্ছি। ভোট পুনঃগননার দাবী উপেক্ষিত হলে আমি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবো। সর্বোপরি আমি উচ্চ আদালতের দারস্থ হবো।
সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুফিয়ান আহমেদ, বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী আনার উদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি তারেক আহমদ মধু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাকিম, ধানের শীষের প্রধান এজেন্ট আব্দুল মোহিত সবুজ প্রমুখ।
উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও কুলাউড়া নির্বাচন অফিসার মো: আহসান ইকবাল জানান, তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ৯টি কেন্দ্রে ফলাফল সীটে প্রার্থীর এজেন্টদের স্বাক্ষর রয়েছে। ফলাফল ঘোষণাকালে লিখিত অভিযোগ নেয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রয়োজনে তারা ট্রাইবুন্যালে বা নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম বলেন, তাদের বক্তব্য সঠিক নয়, বিরোধীতার কারণে বিরোধীতা করা ঠিক নয়। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ট হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *