কুলাউড়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে ৮ চেয়ারম্যানসহ ১৪ প্রার্থী গুনলেন জরিমানা

মাহফুজ শাকিল : কুলাউড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত তিনদিনের মোবাইল কোর্টের অভিযানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে তিন ইউনিয়নের ৮জন চেয়ারম্যানপ্রার্থীসহ মোট ১৪ প্রার্থীকে মোট ৪৮ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া প্রার্থীদের আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার হলরুমে উপজেলার ৭০০ প্রার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এসময় জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনে ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।

১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর নির্বাচন আচরণবিধি তদারকিতে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্লা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় কুলাউড়া থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে এসময় আচরণবিধি (দেয়াল ও যানবাহনে পোস্টার লাগানো) লঙ্ঘনের দায়ে কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার বুবলীকে ৫ হাজার টাকা, নৌকার প্রার্থী মোছাদ্দিক আহমদ নোমান ৫ হাজার টাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবের আহমদ খান ৫ হাজার টাকা, শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী ৫ হাজার টাকা, ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মোঃ আব্দুল আলী ১ হাজার, মোঃ ফজলু মিয়া ১ হাজার, সায়েফ আলী ১ হাজার এবং ২ প্রাার্থীর যানবাহন চালককে ২৫০ টাকাসহ মোট ২৩ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়। এর আগে বুধবার রাতে জয়চন্ডী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রব মাহাবুবকে ৮ হাজার টাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী কমর উদ্দিন আহমদ কমরুকে ৫ হাজার টাকা, ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আতাউর রহমানকে ২ হাজার টাকাসহ মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবুল হোসেন খছরুকে ৩ হাজার টাকা, বর্তমান চেয়ারম্যান খোরশেদ আহমদ খান সুইটকে ৩ হাজার টাকাসহ দুইজন মেম্বার প্রার্থীকে ২ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল মোল্লা বলেন, জেলা প্রশাসক স্যার ও ইউএনও স্যারের নির্দেশে নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের সময় নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্ত অনেক প্রার্থী সেই নির্দেশনা না মেনে আচরনবিধি লঙ্ঘন করছেন। নির্বাচনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কঠোর ভাবে বিধি প্রতিপালনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *