কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা সারাবিশ্বেই কমে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে আবিস্কৃত হয়নি নতুন কোনো গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক। যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে কার্যকারিতা হারাচ্ছে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকগুলো। এতে ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে মানবজাতি। অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে টিকার ব্যবহার বাড়ানো ও প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করার সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে নজর দিতে হবে। বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্টস ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আয়োজিত সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্টস’র সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা ঝোরা। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

আইইডিসিআরের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন হাবিব বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার রোধে নজরদারি বাড়াতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে ভ্যাকসিনের ব্যবহার বাড়াতে হবে। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক ভ্যাকসিন রয়েছে।’ এ ছাড়া দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজিস্টস’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা ঝোরা বলেন, ‘অযাচিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে এসব অকার্যকর হতে চলেছে। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আফ্রিকার চেয়েও খারাপ। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এজন্য সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি।’