ঘন কুয়াশা বিপর্যস্ত জনজীবন

ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডায় অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জন-জীবন। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সূর্যের দেখা না মেলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের প্রকোপ। কুয়াশার চাদরে পথ-ঘাট ও প্রকৃতি ঢেকে থাকায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষজন।

ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সময়মতো কাজে যেতে পাড়ছেন না শ্রমজীবীরা। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিরাবনের চেষ্টা করছেন অনেকেই। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার রহিম মিয়া বলেন, ‘শীত উপেক্ষা করে আলু ক্ষেতের পরিচর্চা, বীজতলা তৈরিসহ নানা ধরনের কৃষিকাজ করতে হচ্ছে। ঠাণ্ডায় কাজ করতে গিয়ে হাত পা জমে যায়। সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।’

একই এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কয়েকদিন থেকে আমার এখানে প্রচুর ঠাণ্ডা পড়ছে।

চলাফেরা থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজে খুব অসুবিধা হয়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষগুলো পড়েছে বড় বেকায়দায়।

কুড়িগ্রাম দূর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৩৮ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ এসব কম্বল ইতোমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রান ব্যবস্থাপনা শাখা। এছাড়াও বেসরকারি ও ব্যাক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ হচ্ছে বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, বুধবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীতে এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।

—-ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *