জুড়ীতে উদ্ধার হয়নি অস্ত্র, মুখ বন্ধ পুলিশের, বহিস্কার ৭ ছাত্রলীগ নেতা

জুড়ী প্রতিনিধি: জুড়ীতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দায় নিয়ে ৭ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে এখনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে পুলিশ কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। পুলিশের দায়িত্বশীল দুই কর্মকর্তা জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও কুলাউড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করছেন।

কুলাউড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দিপংকর ঘোষ এ বিষয়ে জুড়ী থানার ওসির সঙ্গে কথার পরামর্শ দেন, আর জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত)-এর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক প্যাডে জুড়ী উপজেলা ও কলেজের সাত নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ঘটনার ৯ দিন অতিবাহিত হলেও কোন অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

ছাত্রলীগের প্যাডে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এই ৭ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।বহিষ্কৃতরা হলেন তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জয়, জায়ফরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য হুমায়ুন রশীদ, আসরাফ উদ্দিন, আলিম উদ্দিন, মামুন আহমদ ও হৃদয় আহমদ।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৭ জুন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জুড়ীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় ভবানীগঞ্জ বাজারে অটোরিকশা ভাঙচুর করা হলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করলেও বিচার না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত রোববার উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার বাসায় উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা হয়, সেখানে উভয় পক্ষের অস্ত্র সাতদিনের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মাসুক মিয়ার নিকট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। জুড়ী থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ূন কবির বলেন, অটোরিকশা ভাঙচুরের বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *