বিশেষ প্রতিনিধি : কুলাউড়ায় কর্মধা ইউনিয়নের কর্মধা গ্রামে বাবা আব্দুল মন্নান ও ভাই আব্দুস সালাম এর উপর নৃশংস ভাবে হামলাকারী প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে ও পরিবারের লোকদের মিথ্যা ও কাল্পনিক সাজানো মামলা থেকে অব্যাহতির প্রার্থনা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগীর পরিবারবর্গের আয়োজনে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মন্নানের মেয়ে মোছাঃ রহিমা বেগম পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনাদের অবগতির জন্য জানাইতেছি যে, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলাধীন কর্মধা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সাকিন কর্মধা গ্রাম নিবাসী আমার পিতার বসতবাড়ির ভিতরে নিজ ঘরে জোরপূর্বক ভাবে প্রবেশ করিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ২৩/০৭/২০২৩ ইংরেজি রোজ রবিবার রাত আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় জনৈক( ১)আব্দুল করিম (৫০) পিতা মৃত আব্দুল কাদির সাং কর্মধা (২) মোঃ খছরু মিয়া (৩৫) পিতা মৃত মবু মিয়া সাকিন কর্মধা (৩) সোহেল আহমদ (৩২) পিতা মৃত আব্দুল ওহাব সাং মনরাজ (৪) আব্দুল বাসিত তালুকদার মঞ্জু পিতা মৃত আব্দুল ছত্তার সাকিন কালিজুড়ী (৫) সেলিম মিয়া( ২২) পিতা আব্দুল করিম সাকিন কর্মধা (৬) খালেদ মিয়া (২০) পিতা আব্দুল করিম সাকিন কর্মধা (৭) খলিল মিয়া (২৯) পিতা মৃত ইনানী মিয়া সাকিন কর্মধা( ৮) কাওসার হোসেন বকুল(২৭) পিতা মৃত আব্দুর রহমান সাং মনরাজ (৯)আমির আলী (৩৫) পিতা মৃত এশাদ উল্ল্যাহ সাং মনরাজ (১০) আমিনা আক্তার (২৫) স্বামী মৃত রুবেল মিয়া সাং মনরাজ (১১) খরিবুননেছা (৪০) স্বামী আব্দুল করিম সাং কর্মধা (১২) রুহেনা বেগম (৩৫) স্বামী মৃত গনি মিয়া সাং কর্মধা (১৩) এনি বেগম(২৫) স্বামী মোঃ খছরু মিয়া সাং কর্মধা ( সহ আরো অজ্ঞাতনামা প্রায় ৮ থেকে ১০ জন আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধভাবে আসিয়া এলোপাতাড়ী ভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র শস্ত্র দা, রামদা, রড ইত্যাদি দিয়া আমার পিতা মোঃ আব্দুল মন্নান ও আমার সহোদর ভাই মোঃ আব্দুস ছালামকে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে। আমাদের ঘরের প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ভাংচুর করে,আমার ছোট ভাইয়ের বউ রেহেনা বেগম ও আমার মাতা চন্দ্রবান বিবিকে কিল ঘুষি মারে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। আমার মাতা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রেহেনা বেগম আমার পিতা ও ভাইকে মেরে ফেলেছে বলে কান্নাকাটি ও চিৎকার করতে থাকলে উপরোক্ত আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি দেয় যে ঘর থেকে বের হলে তোমাদের সবাইকে জবাই করিয়া লাশ গুম করে ফেলবো। আমার পিতার মাথা ও হাত- পা সহ সারা শরীরে কমপক্ষে আনুমানিক ৮০ থেকে ৯০ টি সেলাই লাগে। আমার পিতা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ও আমার ভাই মোঃ সালামের মাথা ও হাত-পা এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি সেলাই লাগে। আমার ভাইয়ের একটি হাত ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা : আমি যখন রাতে মোবাইল এর মাধ্যমে ঘটনার সংবাদ পাই তখন সিএনজিযোগে তড়িৎ গতিতে ঘটনাস্থলে আসিয়া দেখি যে আসামীগণ আমার পিতা ও ভাইকে মারাত্মক ভাবে গুরুতর আহত করিয়া চলিয়া যাইতেছে। আমার পিতা ও ভাই রক্তাক্ত ও মূমুর্ষু অবস্থায় ঘরের মেজেতে পড়ে আছেন। তখনকার সময়ে কুলাউড়া থানা পুলিশকে ঘটনার খবর জানালে তাৎক্ষণিক পুলিশ এম্বুলেন্স নিয়ে আসে ঘটনাস্থলে এবং পুলিশের সহযোগিতায় উক্ত এম্বুলেন্সে আমার পিতা এবং ভাইকে চিকিৎসার জন্য কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যাই। তাদের চিকিৎসার স্বার্থে আমি এবং আমার মাতা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তাহার বেগতিক ও মূমুর্ষু অবস্থা দেখিয়া তখন তাদেরকে কুলাউড়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।প্রিয় ভাইয়েরাঃ কিন্তু তখনকার সময়ে আমাকে সাহায্য করার মতো কেউ না থাকার কারণে আমার দায়েরী সিআর ৪২৩/২০২৩ ইং (কুলাঃ) উক্ত মামলার ১ ও ২ নং আসামিকে সাক্ষী সাজাইয়া আমার পিতা মাতা ও ভাইসহ পরিবারের সকলকে আসামী সাজাইয়া কাল্পনিক মিথ্যা ঘটনা দেখাইয়া কুলাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের পূর্বক
ভিন্ন একটি মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত ঘটনার সময়ে আমার ছোট ভাই সংবাদকর্মী মোঃ আব্দুল কালাম এবং ভাই আব্দুল আজাদ বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু তাদেরকে আসামী দিয়ে কুলাউড়া থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমার নিরীহ ভাইদের হয়রানি করিতেছেন যাহার মামলা নং জিআর ১৯৯/২০২৩ (কুলা) । উক্ত মামলায় ঘটনার স্থান মোঃ খসরু মিয়ার বসত বাড়ির পাকা বাউন্ডারির ভিতরে দেখানো হয়। উক্ত ঘটনায় দেখানো হয় যে জনৈক রুবেল আহমেদকে ঘটনার স্থান ও সময়ে কে বা কাহারা হত্যা করেন৷ উক্ত ঘটনার সময়ে আমার বাবা আব্দুল মান্নান ও ঋাই আব্দুস সালাম রক্তাক্ত অবস্থায় তাহার নিজ ঘরে ছিলেন। এই সময়ে তাহারা রক্তাক্ত অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে কিভাবে অন্য বাড়িতে গিয়ে (তাহাকে) হত্যা করবেন! সে বিষয়টি মোটেও বোধগম্য নয়। প্রকৃতপক্ষে আমার দায়েরী মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উপরোক্ত ব্যাক্তিগণ মামলা দায়ের করেছেন।প্রকৃতপক্ষে আমার দায়েরী উপরোক্ত সিআর ৪২৩/২০২৩ ইং (কুলাঃ) মামলার ১ ও ২ নং আসামিসহ বাকি অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করিলে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে। আমি আপনাদের মাধ্যামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ জেলা প্রশাসক, মাননীয় পুলিশ সুপার ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, উপরোক্ত ঘটনা সঠিকভাবে তদন্তপূর্বক ঘটনার সহিত সংশ্লিষ্ট আসমীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক আমার পিতা, মাতা, ভাই, ভাবি এমনকি আমার পরিবারের সদস্যদের উক্ত ঘটনার দায় হইতে অব্যাহতির প্রার্থনা জানাচ্ছি। উল্লেখ্য আমার পিতা ও ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়বস্তু বিভিন্ন পত্র- পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অনেক অনলাইন পত্রিকায় আমাদের পরিবারের কারো বক্তব্য না নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে ভুল অসত্য ও বিভ্রান্তীকর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে মানহানি করা হয়েছে । আমরা উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।জাতির বিবেক প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা : আমাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহের সহায় সম্বল একটি সিএনজি গাড়ি কুলাউড়া থানার পুলিশ ঘটনার আনুমানিক এক সপ্তাহ পর সন্ধ্যার সময় আমাদের ঘর থেকে ( গাড়ি নাম্বার মৌলভীবাজার থ-১১-৯৩৯৭) কুলাউড়া থানায় নিয়ে যায়। যার ফলে পরিবারের আয় রোজগারের পথ বন্ধ হওয়ায় পরিবারের সবাই মানবেতর জীবনযাপন করতেছেন। সিএনজি গাড়িটি থানায় নেওয়া হয়েছে কেন? আদালত থেকে গাড়ির উপর কোনো মামলা দায়ের করা হয়েছে কি না? কিংবা আদালত থেকে নির্দেশনা দিয়েছে গাড়ি থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এমন কোনো নোটিশ আমরা পাই নাই। পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে এসব প্রশ্নের সদুত্তর আমরা পাই নি? যদি গাড়ির উপর কোনো মামলা দায়ের করা হয় তাহলে কেন ঐ মামলার কাগজ কিংবা মামলা নম্বর ও দেওয়া হয় নি! সিএনজি গাড়িটি কুলাউড়া থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে মর্মে কোনো লিখিত ডকুমেন্টস ও দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় সিএনজি গাড়িটি না পাওয়ার আশংকা করছি। প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে বিষয়টির রহস্য জানতে চাই। গরীব মানুষের একমাত্র সহায় সম্বল গাড়িটি কেন থানায় নিয়ে রাখা হলো? অচিরেই গাড়িটি পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানাই।