কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নাগরিকদের শান্তির বার্তা দিলেন ওসি ওমর ফারুক

জেলা প্রতিনিধিমৌলভীবাজার:

কুলাউড়া থানা পুলিশের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাহাড়ি টিলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ২৮টি পুঞ্জির প্রতিনিধিদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক গঠনমূলক এক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর মিশন স্কুলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক। এ সময় তিনি জেলা পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্দেশনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাহাড়ি পুঞ্জি এলাকায় অপরাধ প্রতিরোধ, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, মৌলভীবাজার জেলা ও কুলাউড়া থানা পুলিশ সবসময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায়ের নাগরিকের পাশে আছে। বৈষম্যহীন, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে পুলিশ ও জনগণের যৌথ সহযোগিতাই সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি আরো বলেন, পুঞ্জির লোকদের পানজুমসহ ফসল বিনষ্টকারী

অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে এলাকায় শান্তিময় পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে এবং আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।  পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও পার্শ্ববর্তী বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্বও আলোচনা হয়। সভায় পুঞ্জিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা তাদের চলমান সমস্যা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্য সমাধান বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন থানার ওসি ওমর ফারুকের কাছে।

আদিবাসীদের পক্ষে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ফাদার জোসেফ গোমেজ, আন্ত:পুঞ্জি উন্নয়ন সংঘ (কুবরাজ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রত্যুষ আসাক্রা, সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং, ইউপি সদস্য সিলভেস্টার পাটাং, ঝিমাই পুঞ্জির মন্ত্রী রানা সুরং, নুনছড়া পুঞ্জির মন্ত্রী ববরিন, মেঘাটিলা পুঞ্জির মন্ত্রী মনিকাসহ বিভিন্ন পুঞ্জির মন্ত্রীগণ। এসময় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আকঞ্জি, এসআই মুস্তাফিজসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আন্তঃপুঞ্জি উন্নয়ন সংগঠন (কুবরাজ) এর সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং বলেন, কুলাউড়ার বিভিন্ন পুঞ্জিতে প্রায়শই আদিবাসীদের পানের জুম থেকে পান গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা কর্তন করে দুর্বৃত্তরা। যার কারণে খাসি পান চাষিরা বেশ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। পান চাষ করেই খাসিয়ারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু আমরা সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকি। তিনি আরো বলেন, দেশের নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা ও সুবিচার প্রাপ্তির অধিকার প্রত্যেকেরই রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *