এমপি রতন, তার ভাই রোকনসহ  আওয়ামী লীগের ১৮ জনকে আসামি করে মামলা 

এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া: তাহিরপুর, জামালগঞ্জ  ধর্মপাশা,  মধ্যনগর  মানে  আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছিল  সাবেক এমপি রতনের  অপরাধ জগতের স্বর্গরাজ্য।

তার বিরুদ্ধে কথা বললে  ঘটতো খুনের মত ঘটনা।

তার নির্দিষ্ট   জাদু কাটা নদীর  পাথর কয়লা সহ  সংবাদ  সংগ্রহ করতে  যাওয়ায়  গাছের সাথে বেঁধে  নির্যাতনের শিকার হতে হয়  সেখানকার স্থানীয় সাংবাদিক  কামালকে।

তার স্ত্রীকে  প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে  বেতন দিতে হয়  স্কুলে না গিয়ে। এটা তার ছোটখাটো অপরাধ।  কারণ সেখানে  তার ছিল অপরাধের স্বর্গরাজ্য।  সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা-মধ্যনগর) আসনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আলোচিত (সাবেক এমপি) মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই রোকন সহ আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নূর জামাল বাদি হয়ে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রবিবার ওই মামলা করেন।

মামলায় রতনের ছোট ভাই ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মীকে একই মামলায়  আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞ আদালতে তায়েরকৃত মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাইকুরাটি ইউনিয়নের বালিজুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নূর জামাল বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর আব্দুল মোতালেব খানের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহন চলাকালে আসামিগণ আওয়ামী লীগ সমর্থিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম আহমেদ মুরাদের প্রতীকে জোরপূর্বক জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করেন।

ওই দিন ওই সময়ে নূর জামালসহ স্থানীয়রা জালভোট প্রদানে বাঁধা প্রদান করলে এরই জের ধরে পরবর্তী ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর সাবেক এমপি রতনের হুকুমে তারই লালিত লোকজন সেলবরষ ইউনিয়নের মহিষাখালী বাজার থেকে নূরজামাল ও তাঁর ছেলে নূরুল হুদাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে করে বাদশাগঞ্জ বাজাওে তুলে নিয়ে যায়।  পরে সেখানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাপ-ছেলে দুজনকে আটকে রেখে বেধরকভাবে মারধর করা হয় একই সাথে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

ওই সময় নূরজামাল ও নূরুল হুদার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুঁটে এসে তাদের উদ্ধার করে।

পরে আহতাবস্থায় নূরুল হুদাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় এবং নূর জামাল স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহন করেন।

সোমবার রাতে মামলার বাদি নূর জামাল বলেন, ওই সময়ই থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু তৎকালীন সময়ে থাকা থানার ওসি ও কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারগণ মামলা   নেননি।

আর মামলা করলে আমাকে ও আমার ছেলেকে গুমের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভয়ে আর আইনি পদক্ষেপ নেইনি। আদালতে মামলা দায়ের করতে পেরে এখন ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা রাখি।

মামলা পরিচালনাকারি বাদিপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল বলেন, আদালতের বিজ্ঞ বিচারক  মামলাটি আমলে নিয়ে  তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যূরো অব ইনভেষ্টিকেশান (পিবিআই)কে আদেশ প্রদান করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *